প্লাস্টিসিটি হলো পদার্থের এমন একটি ধর্ম যেখানে বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে সেটি স্থায়ীভাবে আকৃতি পরিবর্তন করে এবং বল অপসারণের পরেও পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে না।
২. কারণ:
পদার্থের অভ্যন্তরে অণু বা পরমাণুর গঠন স্থায়ীভাবে সরে যায়।
আণবিক বা স্ফটিক কাঠামোতে সৃষ্ট অসামঞ্জস্য।
৩. প্লাস্টিসিটির সীমা (Yield Point):
একটি নির্দিষ্ট সীমার উপরে বল প্রয়োগের পর পদার্থ স্থায়ীভাবে বিকৃত হয়। এ সীমাকে Yield Point বলা হয়।
৪. প্লাস্টিসিটির প্রভাবকারী কারণ:
উপাদানের ধরন:
ধাতু, পলিমার, এবং কিছু ক্রিস্টাল প্লাস্টিসিটি প্রদর্শন করে।
তাপমাত্রা:
তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্লাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে।
বল প্রয়োগের ধরণ:
প্রসারণ বা সংকোচন জনিত বল প্লাস্টিসিটি বাড়াতে পারে।
সমষ্টিগত গঠন:
অণুর অভ্যন্তরীণ বিন্যাস।
৫. প্লাস্টিসিটির ব্যবহার:
শিল্প ক্ষেত্রে:
ধাতু ঢালাই, মেশিনারি অংশ তৈরি।
নির্মাণ ক্ষেত্রে:
স্থাপত্য নির্মাণে কংক্রিটের প্লাস্টিসিটি।
পলিমার শিল্প:
প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য।
পথ নির্মাণ:
ডামারের প্লাস্টিসিটি ব্যবহার।
৬. উদাহরণ:
ধাতু: সোনা, তামা।
পলিমার: প্লাস্টিক, রাবার।
অ-ধাতব পদার্থ: মাটি, মোম।
প্লাস্টিসিটি পদার্থের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম যা শিল্প এবং প্রযুক্তির বহু ক্ষেত্রে অপরিহার্য।